ঘুম হলেও সারাদিন ক্লান্ত লাগে, জেনে নিন এর কারণ ও প্রতিকার

ঘুম হলেও সারাদিন ক্লান্ত লাগে, জেনে নিন এর কারণ ও প্রতিকার

ঘুম হলেও সারাদিন ক্লান্ত লাগে, জেনে নিন এর কারণ ও প্রতিকার
ঘুম হলেও সারাদিন ক্লান্ত লাগে, জেনে নিন এর কারণ ও প্রতিকার

ফারহানা জেরিন এলমা: আপনি যদি সব সময় ক্লান্ত বোধ করেন। এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। তো চলুন জেনে নেই এমন কিছু টিপস যার মাধ্যমে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

আপনি কেন সব সময় ক্লান্ত বোধ করেন জানেন। আসলে এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। প্রথমত, আপনার শরীরে দুর্বলতা বা ঘুমের অভাবের কারণে আপনি সব সময় ক্লান্ত বোধ করেন। আপনি যদি সব সময় ক্লান্ত বোধ করেন। এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। তো চলুন জেনে নেই এমন কিছু টিপস যার মাধ্যমে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

এসব কারণে ক্লান্ত বোধ হয় : আপনি হাইড্রেটেড না হলে আপনার শরীর সব সময় ক্লান্ত বোধ করবে। গ্রীষ্মে, আপনি সাধারণত এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে। সারাদিন বেশি করে জল পান করুন। এতে আপনার ক্লান্তি দূর হবে এবং আপনি সতেজ অনুভব করবেন।

এর পাশাপাশি যদি স্বাস্থ্যকর খাবার না খান তাহলেও সারাদিন ক্লান্ত বোধ করবেন। এই পরিস্থিতিতে, জাঙ্ক ফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন। এমনকী আপনার শরীরে কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব থাকলেও আপনি সারাদিন ক্লান্ত বোধ করবেন। আসলে শরীরে ভিটামিন-ডি-এর অভাব হলেই এই সমস্যা হয়।

এছাড়াও, পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও, আপনি সারাদিন ক্লান্ত বোধ করবেন। আসলে, ঘুমের সময়, আপনার শরীর প্রয়োজনীয় গ্রোথ হরমোন নিঃসরণ করে, যার কারণে আপনি পরের দিন উদ্যমী বোধ করেন।

ক্লান্তির প্রতিকার: যখনই মনে হবে শরীরের শক্তি কমে যাচ্ছে, তখন ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় খাওয়া উচিত নয়। শুধু ক্লান্তি বা শক্তির জন্য কার্বোহাইড্রেট খাবেন না, তবে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবারের সংমিশ্রণ বেছে নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া আপনার খাদ্যতালিকায় ভরপুর পুষ্টি উপাদান অন্তর্ভুক্ত করুন।

বেশি করে জল পান করুন। এতে আপনার শরীরের শক্তি বজায় থাকবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, পাতে রাখুন এই ৫ ধরনের খাদ্য। যা সারাদিনের ক্লান্তিভাব দূর করবে সহজেই।

কলা-  শরীরে ইন্সট্য়ান্স এনার্জি বাড়াতে কলার বিকল্প নেই। পুষ্টিবিদদের মতে, একটি কলায় প্রায় ৫০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। আর মানবদেহে প্রতিদিন ১৬০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়ামের যোগান দেয়া গেলেই স্ট্রোকের হাত থেকে বছরে বেঁচে যেতে পারে ১০ লক্ষ মানুষ।  কলায় থাকা শর্করা পরিপাকতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কলার মধ্যে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উত্‍পাদনে সাহায্য করে।

পালং শাক- শাকের মধ্যে পালং শাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ এবং সি থাকে। এই শাক ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সহায়তা করে। পালং শাক বায়ু দূষণের কারণে শরীরে যে ক্ষতি হয় তা নিরাময় করতেও সহায়ক। পালং শাকে আছে উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা বেশি মাত্রার ভিটামিন এ, লিম্ফোসাইট বা রক্তের শ্বেত কণিকা দেহকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করে।

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড- এনার্জি বর্দ্ধক খাদ্য হিসেবে প্রথম রাশিতেই রাখা হয় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাদ্যকে।  ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম ত্বকের রক্ত সঞ্চালন পক্রিয়াকে উন্নত করে। যার কারণে স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ত্বক মেলে সহজেই। বেশি পরিমাণে জল খেলে ত্বক সর্বদা হাইড্রেটেড থাকে। জল ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অন্যতম একটি উপাদান। আর ত্বক সতেজ থাকলেই, ত্বকে থাকা ক্লান্তির ছাপ মিলিয়ে যাবে। স্বাভাবিক ভাবে ত্বক সতেজ রাখতে প্রচুর পরিমানে জল পানের পারমর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তাই ক্লান্তিভাব কাটাতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে জল পান করাও প্রয়োজন ।

আখরোট- প্রতিদিনের ডায়েটে আখরোট রাখলে তা এনার্জি বৃদ্ধির পাশাপশি জ্বেল্লাদার ত্বক পেতেও সাহায্য করবে। আখরোট এবং বাদামে ভিটামিন ইতে থাকে। প্রায় ৩০ গ্রাম বাদাম মানুষের শরীরের প্রয়োজনের ৭০ শতাংশ পূরণ করতে পারে।

সলমন মাছ- এই মাছ ক্লান্তভাব দূর করে এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। খুব স্বাস্থ্যকর এবং ভরপুর পুষ্টি পাওয়া যায় সলমন মাছ থেকে। এটি ত্বকের ফোলাভাব হ্রাস করে এবং ক্লান্ত ত্বকের পরিচর্যা করে। এমনকী হাইড্রেটেড ত্বকের জন্যও এই মাছ খুব উপকারী।

গ্রিন টি- গ্রিন টিতে পলিফেনল থাকে। এগুলি ত্বকের কোষগুলিকে পুনরায় সক্রিয় করে।  গ্রিন টি ব্যবহার করে আপনি তারুণ্যে ভরা সৌন্দর্য ফিরে পেতে পারেন। আপনার ত্বকে তরুণ ত্বকের আভা ফিরিয়ে ত্ব ঝকঝকে করে তোলে। পাশাপাশি এনার্জি বাড়াতেও কাজে দেয়।

মতিহার বার্তা / এম আর টি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply